সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের দুর্নীতির ৬ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত মিরপুরে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফিফার টিকিট ঘোষণা: ২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য
  • তাইওয়ানের নির্বাচন ঘিরে কথার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

    তাইওয়ানের নির্বাচন ঘিরে কথার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    তাইওয়ান ঘিরে আবারো প্রকাশ্য সংঘাতে মেতে ওঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। উপলক্ষ, পূর্ব চীন সাগরের ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানে আগামীকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন। তার আগে বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা’র অভিযোগ তুলল।

    চীনের তরফে বুধবার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিল, তাইওয়ানের নির্বাচনে ওয়াশিংটন ‘প্রভাব খাটানোর’ চেষ্টা করলে তার পরিণাম খারাপ হবে। সেইসাথে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানায়, কোনো অবস্থাতেই ‘এক চীন নীতি’ থেকে সরে আসবে না বেইজিং।

    বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা কোনো হুমকির কাছে মাথা নোয়াবেন না। সেইসাথে তার ঘোষণা, ‘নির্বাচনে যে পক্ষই জিতুক না কেন, আমেরিকার তাইওয়ান নীতিতে কোনো পরিবর্তন হবে না।’

    উল্লেখ্য, চীনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালের আগস্টে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভস’-এর তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি। তার পর থেকেই তাইওয়ান প্রণালী এবং পাশের চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বেড়েছে। ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে চীনা হামলার আশঙ্কা করছে আমেরিকার অন্যতম সামরিক সহযোগী তাইওয়ান।

    বেইজিং বরং বরাবরই মনে করে, তাইওয়ান আদতে চীনের অংশ। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের আমলেও সেই নীতিতে অটল রয়েছে তারা। অন্য দিকে, তাইওয়ানের বর্তমান শাসকদল ‘ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি’ (ডিপিপি) ‘কট্টর চীন বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত। অন্য দিকে, প্রধান বিরোধী দল তথা সাবেক শাসক কুয়োমিনতাং পার্টি তুলনায় বেইজিংয়ের প্রতি নমনীয় বলেই পরিচিত। কাগজে-কলমে ‘বহুদলীয় নির্বাচন’ হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত এই দু’দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে ১১৩ আসনের জাতীয় আইনসভার কয়েকটিতে ‘তাইওয়ান পিপল্‌স পার্টি’ (টিপিপি)-র জেতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে।

    গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে চেয়ারম্যান মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে চীনে সশস্ত্র গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা দখলের পরে জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাইশেক এবং তার অনুগামীরা ঘাঁটি গড়েছিলেন তাইওয়ান দ্বীপপুঞ্জে। তার পর থেকে মূলত আমেরিকা এবং পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক ও সামরিক সাহায্যে এখনো টিকে আছে ‘পৃথক’ তাইওয়ান। কিন্তু জিনপিংয়ের জমানায় চীন ক্রমশ আগ্রাসী নীতি অবলম্বন করে তাইওয়ান দখল করতে চাইছে বলে অভিযোগ।


    আনন্দবাজার পত্রিকা
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আরও পড়ুন