রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের দুর্নীতির ৬ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত মিরপুরে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফিফার টিকিট ঘোষণা: ২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য
  • সোনারগাঁয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

    সোনারগাঁয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পানাম গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শুক্রবার (৪ জুলাই ২০২৫) বাদ জুমা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর।

    তিনি মরহুম আঃ করিম বেপারীর চার পুত্রের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। বাদ মাগরিব সোনারগাঁ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বালুয়াদিঘির পাড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বালুয়াদিঘির পাড় সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

    জানাজায় নামাজ পড়ান মরহুমের নাতি হাফেজ আজগার আলী। দাফনের সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল, যারা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলীর পিতা ও দাদা বালুয়াদিঘির পাড়ে কবরস্থানের জন্য জমি দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ এবং বালুয়াদিঘির পাড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা-মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।

    ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং রাজনীতি থেকে সবসময় নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি কখনও নিজের পরিচয়ে অহংকার প্রকাশ করেননি, এমনকি মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে কোনো সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যা, জামাতা, নাতি-নাতনি, ভাই-ভাতিজা ও বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী কয়েক বছর আগে ইন্তেকাল করেন। এরপর তিনি মেয়ের বাড়িতেই বসবাস করতেন।


    এন কে/বিএইচ/আমির
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন