রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের দুর্নীতির ৬ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত মিরপুরে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফিফার টিকিট ঘোষণা: ২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য
  • খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে কোটি টাকার প্রতারণা? অনুসন্ধানে উঠছে রহস্যজনক তথ্য

    খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে কোটি টাকার প্রতারণা? অনুসন্ধানে উঠছে রহস্যজনক তথ্য
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মোতাল্লেছ হোসেন, যিনি নিজেকে অকো-টেক্স লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

    বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তিন মাসের ব্যবধানে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় মোতাল্লেছ হোসেনের একাধিক ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। মোট ৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হলে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব হিসাবে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। অথচ তার আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৩৪ লাখ টাকা।


    বিএফআইইউর প্রাথমিক অনুসন্ধানে সন্দেহ করা হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে মোতাল্লেছ ও তার কয়েকজন সহযোগী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ আদায় করেছেন। তবে এ অভিযোগ এখনো যাচাই-বাছাই ও প্রমাণের পর্যায়ে রয়েছে।

    অভিযোগ অস্বীকার করে মোতাল্লেছ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ব্যবসার সুবিধার্থে নিজস্ব টাকা নিজের একাধিক হিসাবে স্থানান্তর করেছি, যা পাচার হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, কর রিটার্নে ইতোমধ্যে সাড়ে ৫ কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছি।

    তিনি জানান, ২০ মে বিএফআইইউ প্রধান ও পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যাংক হিসাব মুক্ত করার আবেদন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

    বিএফআইইউয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোতাল্লেছ হোসেনের হিসাবে এখনও অর্থ পাচার বা অপরাধমূলক লেনদেনের সরাসরি প্রমাণ মেলেনি। বরং একই অর্থ একাধিকবার স্থানান্তরের আলামত পাওয়া গেছে। এজন্য তার জব্দ করা ব্যাংক হিসাবগুলো খোলার সুপারিশ করা হয়েছে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন