সোনারগাঁয়ের প্রখ্যাত শিল্পপতি ও সমাজসেবক শ্রী সঞ্জিত কুমার দাস পরলোকগমন


নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার কৃষ্ণপুরা গ্রামের প্রখ্যাত শিল্পপতি, সমাজসেবক ও সাবেক সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পারসন) শ্রী সঞ্জিত কুমার দাস (৭৫) আর নেই। শুক্রবার (১১ জুলাই ২০২৫) স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে কানাডার একটি হাসপাতালে তিনি পরলোকগমন করেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রয়াত শ্রী সঞ্জিত কুমার দাস কৃষ্ণপুরা গ্রামের স্বর্গীয় শ্রী শ্রীবতি বাবুর পুত্র। তিনি ছিলেন সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট ও মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিত্ব শ্রী রণপতি কুমার দাসের ছোট ভাই এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক ও সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শ্রী অসিদ কুমার দাসের বড় ভাই।
সঞ্জিত কুমার দাস একজন সফল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পাট ও বস্ত্র খাতে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি সোনারগাঁ রিকশা মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গরিব-দুঃখী, মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে তিনি ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক। তাঁর সামাজিক ও মানবিক অবদান আজও এলাকাবাসীর হৃদয়ে অমলিন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁও পৌর এলাকার বানীনাথপুরস্থ ‘পৌর শ্রী শ্রী গৌড় নিতাই আখড়া’ ও ‘একনাম কীর্তন কমিটি’র সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রয়াত সঞ্জিত কুমার দাস মৃত্যুকালে কানাডায় বসবাসরত ছিলেন। তাঁর দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছেন, যারা সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং কানাডায় পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত।
তাঁর মৃত্যুতে পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর আপন ভাতিজা তাপস কুমার দাস, বিশেষভাবে ছোট, প্রীতম, পার্থ ও সূচনা—সবাই শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
প্রবীণ এই শিল্পপতির মৃত্যুতে সোনারগাঁয়ের সামাজিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রী সঞ্জিত কুমার দাসের মতো মানুষ আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর কর্ম ও মানবিক গুণাবলীর জন্য। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানাই।
এন কে/বিএইচ/আমির
