রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের দুর্নীতির ৬ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত মিরপুরে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফিফার টিকিট ঘোষণা: ২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য
  • ওয়াশিংটন সফর শেষেও গাজায় শান্তির আশার আলো নেই

    ওয়াশিংটন সফর শেষেও গাজায় শান্তির আশার আলো নেই
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    চার দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সফরের মূল লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করা, তবে গাজা যুদ্ধবিরতি ও ইরান ইস্যুতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা যায়নি।

    সফরের সময় মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে বসেন নেতানিয়াহু। আলোচনায় গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান, মানবিক সহায়তা প্রবাহ এবং যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছানো যায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

    এ সফরের সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও নতুন করে আলোচনায় আসে। পাশাপাশি ইসরায়েলের যুদ্ধনীতির সমালোচনা করেন কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতাও।

    বিশ্লেষকদের মতে, সফরটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় এর প্রভাব সীমিত রয়ে গেছে।

    নেতানিয়াহুর সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা করা, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির ব্যবস্থা করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করা। গত মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিল, যা এই সফরের পটভূমি হিসেবে কাজ করেছে। গাজার সংকট, ইরানের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এবং মার্কিন প্রশাসনের সহযোগিতা ছিল আলোচনার মূল বিষয়।

    সফরের সময় নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, মার্কো রুবিও ও হাউস স্পিকার মাইক জনসনের মতো শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক অংশীদারিত্বের কথা বলেন। যদিও গাজার যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তির ব্যাপারে বিশেষ কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি, তবে মার্কিন কূটনীতিকদের মতে আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। নেতানিয়াহু এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শক্তি সহযোগিতায় একটি সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেন।

    নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের গাজার ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর নিয়ে মন্তব্য বেশ বিতর্ক সৃষ্টি করে। তারা আশেপাশের কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা করছে এমন ধারণা প্রকাশ করলেও নেতানিয়াহু পরে তা স্পষ্ট করে বলেন যে, জোরপূর্বক কোনো স্থানান্তর ঘটানো হবে না এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে। তবে পুরো সমস্যার সমাধান এখনো দূরের কথা।

    সফরের সময় ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সমর্থক সংগঠন তার সফরকে যুদ্ধবিরোধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমর্থন হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ করে। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গাজার সশস্ত্র সংঘাতের কারণে গত অক্টোবর থেকে ৫৭,৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি 


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    A PHP Error was encountered

    Severity: Core Warning

    Message: PHP Startup: Unable to load dynamic library 'tidy.so' (tried: /opt/cpanel/ea-php74/root/usr/lib64/php/modules/tidy.so (libtidy.so.5: cannot open shared object file: No such file or directory), /opt/cpanel/ea-php74/root/usr/lib64/php/modules/tidy.so.so (/opt/cpanel/ea-php74/root/usr/lib64/php/modules/tidy.so.so: cannot open shared object file: No such file or directory))

    Filename: Unknown

    Line Number: 0

    Backtrace: