রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য গোপালগঞ্জে পরিস্থিতির কারণে গুলি করেছে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পানিশূন্য হতে চলেছে কাবুল, ইতিহাসে নজিরবিহীন শঙ্কা যুক্তরাজ্যে গোপনে সম্পদ হস্তান্তর করছেন হাসিনা ঘনিষ্ঠরা শেখ হাসিনা জাতির কলঙ্ক, তাকে ক্ষমা নয়: মির্জা ফখরুল ২৮তম বিসিএসের ডিসি মাসুদের নতুন দায়িত্বে চমক
  • ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার

    ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে পাথর ও ইট দিয়ে নৃশংসভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নান্নুকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, র‌্যাব-১০ এর অভিযানে নান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এ সময় র‌্যাব-১১ সহযোগিতা করে। বিস্তারিত তথ্য র‌্যাব-১০ পরে জানাবে বলেও জানান তিনি।

    র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নান্নু সোহাগকে ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিতকারী চারজনের অন্যতম। এ নিয়ে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

    এর আগে রোববার সকালে ঢাকা ও নেত্রকোণা থেকে সজীব ও রাজীব নামের আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা ৫ দিনের রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

    গত বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েকজন যুবক সোহাগকে ডেকে নেয়। পরে প্রকাশ্যেই তাকে পিটিয়ে, ইট ও পাথরের টুকরো দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। এমনকি একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে তার শরীরের ওপর লাফিয়ে হত্যার ভয়াবহতা বাড়ানো হয়।

    নিহত সোহাগ পুরোনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি পণ্যের ব্যবসা করতেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, একসময় তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। তিনি দুই সন্তানের জনক—১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

    উল্লেখ্য, সোহাগ হত্যা মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয়রা চাঁদাবাজিকে এ হত্যার মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন।


    এন কে/বিএইচ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন