রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য গোপালগঞ্জে পরিস্থিতির কারণে গুলি করেছে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পানিশূন্য হতে চলেছে কাবুল, ইতিহাসে নজিরবিহীন শঙ্কা যুক্তরাজ্যে গোপনে সম্পদ হস্তান্তর করছেন হাসিনা ঘনিষ্ঠরা শেখ হাসিনা জাতির কলঙ্ক, তাকে ক্ষমা নয়: মির্জা ফখরুল ২৮তম বিসিএসের ডিসি মাসুদের নতুন দায়িত্বে চমক
  • মাদকে সয়লাব মাধবদী, হটস্পট আমদিয়া নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয়রা

    মাদকে সয়লাব মাধবদী, হটস্পট আমদিয়া নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয়রা
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    নরসিংদীর মাধবদী থানা এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের ভয়াবহ বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম কোনো এলাকাই এখন মাদকের করালগ্রাস থেকে নিরাপদ নয়। কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নারীরাও এই মরণনেশার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

    স্থানীয়ভাবে ‘বাবা’ নামে পরিচিত ইয়াবা গাঁজা ফেনসিডিল এই এলাকার প্রধান মাদক। মাদকসেবনের পাশাপাশি এসব মাদককে কেন্দ্র করে ঘটছে ছিনতাই, চুরি, মারামারি, পারিবারিক অশান্তিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

    বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার সীমান্তবর্তী মাধবদী থানার আমদিয়া ও সাতগাঁও ইউনিয়ন এখন মাদক পাচারের অন্যতম রুটে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকার সরু গ্রামীণ পথ ব্যবহার করে দুই জেলার মধ্যে মাদক আদান-প্রদান করছে একটি শক্তিশালী সক্রিয় চক্র। এতে করে মাধবদী পৌরসভা, মেহেরপাড়া, পাঁচদোনা ও আমদিয়া এলাকা হয়ে উঠেছে মাদকের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

    সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে আমদিয়া ইউনিয়নের বৈলাইন গ্রামে। এই গ্রামের নান্নু মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের এক কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে গড়ে তুলেছেন মাদকের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। স্থানীয়রা জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মাদক কারবারিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে এখনো।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈলাইন গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, এখানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগই প্রভাবশালী। তাদের পেছনে পুলিশ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠজনরাই আছেন। ফলে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না।

    এ ব্যাপারে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, মাদক আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যেই জড়িত থাকুক, সে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

    মাদক নিয়ন্ত্রণে নিরপেক্ষ ও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হোক এমন দাবী স্থানীয়দের। নয়তো মাধবদী ও আশপাশের এলাকা অচিরেই ধ্বংসের পথে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।


    দৈএনকে/জে, আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন