ইমন কাণ্ডে এনসিপির দায় এড়ানোর সুযোগ নেই : জাহেদ উর রহমান


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমামুর রশিদের বিরুদ্ধে এক নারী থেকে সাত লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগকে গুরুতর অনৈতিক আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান।
সোমবার (১৪ জুলাই) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে না, বরং পুরো রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
জাহেদ উর রহমান বলেন, এনসিপি নেতা ইমন একটি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ নিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি একটি বড় স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন- ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে এনসিপিকে অনুদান দিয়ে আসছেন। পুরো টাকা নাকি ছিল ৪৮ লাখ টাকা। উনি শুরুতে নিঃশর্তভাবে দিলেও পরে নাকি একটা পর্যায়ে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া শুরু করেছেন। সেই সুবিধা না পেয়েই তিনি এ ধরনের কাজ করছেন।
ইমনের এমন দাবির বিষয়ে জাহেদ প্রশ্ন তোলেন, একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ডোনেশন দিলে তা দলীয় চ্যানেল দিয়ে দেয়, রাস্তার পাশে চোরের মতো গাড়ির জানালা খুলে নয়। এটা কোনো ডোনেশন নয়, বরং তদবিরের টাকাই মনে হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই নারী দাবি করেছেন, তিনি টাকা দিয়েছেন একটি কাজ করানোর আশায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এটাই যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা। আর তদবিরের টাকা নিয়ে কাজ না করা, এটা আরও ভয়াবহ অপরাধ। তবে, সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, এনসিপি এ ঘটনাকে স্বীকার করে নেতাকে শাস্তি দেওয়ার বদলে তার পক্ষ নিচ্ছে।
ডা. জাহেদ বলেন, এনসিপি নতুন বন্দোবস্তের কথা বলে, কিন্তু আচরণ করছে পুরোনো দলগুলোর মতো। শেখ হাসিনার আমলের মতো তারা এখন ডিনায়ালের চর্চা করছে। দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি নেই, বরং পক্ষ নিচ্ছে।
রাজনৈতিক এই বিশ্লেষক বলেন, এনসিপি গঠনের আগেই আন্দোলনে যারা ছিলেন, তাদের অনেকেই নানা ধান্দাবাজিতে জড়িয়েছেন। ডিসি নিয়োগ ইস্যুটা এখনও অনেকের মনে আছে। এখনও লেনদেন, তদবির চলছে—এনসিপি এর দায় এড়াতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের নতুন রাজনীতির কথার সঙ্গে বাস্তব কাজের ফারাক পরিষ্কার। বড় অফিস, বিলাসবহুল ইফতার পার্টি, বড় সমাবেশ—এসব দেখে বোঝা যায়, তারা পুরোনো ধাঁচেই চলছে।
