প্রেম টিকিয়ে রাখতে চান? এই ৭ বিশেষজ্ঞ টিপস মধুরতা ফিরিয়ে আনবে


প্রতিটি মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত থাকেন—যদিও সম্পর্কের ধরণ ও গভীরতা সময় ও পরিস্থিতিঘটিতভাবে পরিবর্তিত হয়। কখনো তা দৃঢ় ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, কখনো দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, এক পক্ষ সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে—তবুও অন্য পক্ষ সেভাবে এগিয়ে না আসায় সেটি টিকে থাকতে পারে না।
মূলত সম্পর্ক গভীর ও ভালো না থাকলে তা টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। তবে সবাই তো চান, সঙ্গীর থেকে ভালোবাসা ও সম্পর্ক মধুরভাবে এগিয়ে যাক। যদিও কিছু জটিলতার কারণে তা হয়ে উঠে না। সম্পর্কের বন্ধন ভালো থাকা মানসিক ও শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই জরুরি। এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডেটিং কোচ তালিয়া কোরেন এবং নামরোভানির রিলেশনশিপ ট্রেইনার সিদ্ধার্থ এস. কুমার। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তাহলে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।
যেসব ভুল এড়িয়ে চলতে হবে:
অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বা জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করা যাবে না। বারবার মিথ্যা বলা কিংবা মানসিক বা শারীরিক হেনস্থা থেকে বিরত থাকতে হবে। সঙ্গীর প্রতি ভুলেও অবজ্ঞা বা অবহেলা করা যাবে না। নিজের আবেগ চেপে রাখতে হবে এবং সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারানো যাবে না।
সপ্তাহে কতবার ডেটিংয়ে সময় দেয়া উচিত:
প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন নিখুঁতভাবে একে অপরের প্রতি ফোকাসসহ একসঙ্গে সময় কাটানো ভালো। বেশি ব্যস্ততার মধ্যেও ছোট ছোট মুহূর্তে ভালো সময় দেয়া যায়। যেমন- একসঙ্গে খাবার খাওয়া, হেঁটে চলা বা মেসেজে আন্তরিক বার্তা চালানো। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়মিত যোগাযোগ ও একে অপরের সঙ্গে মানসিক যোগাযোগ ঠিক রাখা।
আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান তৈরি করা:
সঠিক সঙ্গী পেতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসা জরুরি। আত্মবিশ্বাস আপনাকে স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণীয় করে তুলে। মনে রাখতে হবে, সুখী সম্পর্ক শুরু হয় নিজেকে ভালোবাসার মাধ্যমে।
বাস্তবিক ডেটিংয়ে অংশ নেয়া:
ডেটিং অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া বা বাস্তব জীবনে দেখা ও কথা হওয়া মানুষের সঙ্গে ডেটে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে কিছু না কিছু শেখার থাকে। এ ক্ষেত্রে খোলা মন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ডেটিং হোক আনন্দময়:
ডেটিং যেন কখনোই চাপ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একে উপভোগ্য করা যায় কীভাবে, তা ভাবুন। এ ক্ষেত্রে চায়ের কাপে চুমুক আর গল্প, হালকা হাঁটা বা একসঙ্গে কফি পান, ছোট ছোট এসব মুহূর্ত সম্পর্ক গভীর করে।
অতিরিক্ত চিন্তা না করা:
বারবার চিন্তা করা, ভবিষ্যতে কী হবে এ নিয়ে ভাবা, প্রত্যাখ্যানের ভয়―এসব আপনাকে মানসিকভাবে বিষিয়ে তুলতে পারে। একইসঙ্গে খারাপ অভিজ্ঞতা হতে পারে। বরং নিজেকে এভাবে বলুন যে, এটা একটা শেখার সুযোগ।
প্রত্যাশার ফাঁদে না পড়া:
অনেকেই অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা থেকে বেশি প্রত্যাশা রাখেন। অতিরিক্ত উচ্চ প্রত্যাশা রাখা ঠিক নয়। বরং বাস্তববাদী হন। সবার কিছু না কিছু ত্রুটি থাকেই। ভালোবাসা মানে এর এমন নয় যে, নিখুঁত কাউকে খুঁজে পেতে হবে। বরং একজন ত্রুটিপূর্ণ মানুষকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাকে নিজের মতো করে গড়ে তুলুন।
মান বজায় রাখা ও নমনীয় হওয়া:
নিজের মান ও মূল্যবোধের সঙ্গে আপস না করেও একজন উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ডেটিং কোচ তালিয়া কোরেন এ ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে বলেছেন, মান বজায় রাখলে অযথা সম্পর্ক থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে সরিয়ে নেয়া যায়।
নিজের চাহিদা বোঝা:
রিলেশনশিপ ট্রেইনার সিদ্ধার্থ এস. কুমার বলেছেন, সম্পর্ক শুরুর আগে নিজের চাহিদা, সীমা ও মূল্যবোধগুলো ভালো করে বুঝে নিন। এতে একজন সত্যিকারের মানানসই সঙ্গীকে আকর্ষণ করতে পারবেন আপনি।
দৈএনকে/জে, আ
