রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য গোপালগঞ্জে পরিস্থিতির কারণে গুলি করেছে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পানিশূন্য হতে চলেছে কাবুল, ইতিহাসে নজিরবিহীন শঙ্কা যুক্তরাজ্যে গোপনে সম্পদ হস্তান্তর করছেন হাসিনা ঘনিষ্ঠরা শেখ হাসিনা জাতির কলঙ্ক, তাকে ক্ষমা নয়: মির্জা ফখরুল
  • জন্মের পর কাঁচা রাস্তা ছাড়া পাকা চোখ দেখি নাই

    জন্মের পর কাঁচা রাস্তা ছাড়া পাকা চোখ দেখি নাই
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শংকরপুর থেকে বালিচিরি পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা এখনও কাঁচা। বছরের পর বছর অবহেলিত এই রাস্তাটি আজ স্থানীয়দের কাছে ‘মরণফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে দুর্ভোগের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে এলাকাবাসী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

    গত সোমবার (১৪ই জুলাই) সকালে শংকরপুর এলাকায় তরুণ সমাজকর্মী আব্দুল মুস্তাকিম তানিমের সঞ্চালনায় এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেয় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা,অভিভাবক এবং বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।

    মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ছিলো ব্যতিক্রমধর্মী স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড;

    “শিক্ষার পথে কাঁদা কেন?”

    “জন্ম থেকে দেখি কাঁদা, পাকা রাস্তা কি শুধু স্বপ্ন?”

    “চলা যায় না,যাওয়া যায় না,এমন রাস্তায় ভোট হয় না!”

    “শুধু নির্বাচনের আগে রাস্তা মাপা হয়,তারপর ভুলে যায়!”

    স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য জমসেদ আলী,ময়নুল হক পবনসহ একাধিকজন মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন,রাস্তাটি উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ, অথচ বর্ষায় এটি ভয়ানক কাদা ও জলাবদ্ধতায় অচল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগী পরিবহনেও দেখা দিচ্ছে বিপর্যয়।

    এক শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে বলে,“বৃষ্টি হলে রাস্তায় পা পিছলে পড়ে যাই। আমরা ছোট বলে কি আমাদের কষ্ট কেউ দেখবে না?”

    এ নিয়ে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনও। তিনি জানান,“এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেয়েছি। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।”

    দীর্ঘদিনের অবহেলা আর প্রতিশ্রুতির জালে বন্দী এই কাঁচা রাস্তাটি অবশেষে আলোচনায় এসেছে। তবে বাস্তবে উন্নয়ন না হলে এলাকাবাসী আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন