শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়


শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি বাংলাদেশের। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেছিল তারা, তবে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রথম ম্যাচে হার। কিন্তু এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুটি ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়েছে লিটন দাসের দল—শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন শেখ মেহেদি হাসান—৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে শিকার করেন ৪টি উইকেট।
১৩৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাকের শিকার হন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে এরপর ইনিংস গুছিয়ে নেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭৪ রান। লিটন করেন ২৬ বলে ৩২ রান।
তানজিদ তামিম এরপর একক দাপটে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। মাত্র ২৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দেন তাওহিদ হৃদয়, যিনি ২৫ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৬.৩ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর শেখ মেহেদির ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তার বলেই ফেরেন কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্দিমাল, ইনফর্ম অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা এবং পরে পাথুম নিশাঙ্কাও।
শেষদিকে দাসুন শানাকা কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। ২৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে দলকে লড়াইয়ের স্কোরে নিতে তা যথেষ্ট ছিল না।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে মেহেদির ৪ উইকেট ছাড়াও শরিফুল, মুস্তাফিজুর ও শামীম হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ—শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
