পাকিস্তানে বর্ষা দুর্যোগ: ৯৬ শিশুসহ ২০২ জনের মৃত্যু


পাকিস্তানে চলতি বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ দুর্যোগে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু এবং আহত হয়েছেন ৫০০ জনের বেশি। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, এবারের বর্ষা আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি তীব্রতা নিয়ে এসেছে।
এনডিএমএ সতর্ক করেছে, ২৪ জুলাই পর্যন্ত রাজধানী ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। সিন্ধুর করাচি, হায়দ্রাবাদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে।
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদি ‘ঘুমন্ত রাজকুমার’
পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে চতুর্থবারের মতো টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঝড়ো বাতাস ও নদনদীর পানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে খাইবার পাখতুনখওয়ায় ভারি বর্ষণ ও হিমবাহ গলা পানির মিলনে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াতে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার পাঞ্জাবের আটক শহরে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একজন পানিতে ডুবে, একজন ছাদ ধসে এবং অপরজন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
পাঞ্জাবের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত তারা ১,৫৯৪ জনকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে ৪৪৯ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনডিএমএ সকল নাগরিককে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলা, ঘরে অবস্থান এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
