উচ্চকক্ষ নিয়ে দু’-তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ


উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
রোববার সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের পঞ্চদশ দিনের দ্বিতীয় দফা বৈঠকের সূচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের অভ্যন্তরে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চাই। এটা আপনাদের পক্ষ থেকেও নিঃসন্দেহে আপনারা চান। সেজন্যই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।”
উচ্চকক্ষ বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের পক্ষ থেকে কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আমরা আশা করেছিলাম শুক্র-শনিবারের আলোচনার মাধ্যমে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। তবে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আপনাদের প্রস্তাবনাগুলো আবারও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংবিধান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, দু’দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে ড. আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কয়েকদিনের আলোচনার ভিত্তিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী- এই চারটি দল থেকে পৃথক প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে একটি সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মূলত দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব ও সাম্প্রতিক আলোচনার সারসংক্ষেপের ভিত্তিতে তৈরি। আমরা আশা করছি, আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
কমিশনের লক্ষ্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা আপনাদের-আমাদের সবারই কাম্য। দেশের জনগণও সেটাই প্রত্যাশা করছে। গত ১৪ বছর ধরে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। এখন প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়েও আমরা একমতে পৌঁছাতে পারব- এ বিশ্বাস কমিশনের রয়েছে।”
ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আজ প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিষয়েও আলোচনা হবে এবং সেক্ষেত্রেও আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাব বলে আশা করছি।”
