অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে নতুন টাকা


নতুন টাকার নোট ঈদআনন্দ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। ঈদি, বকশিস বা সালামি হিসেবে নতুন টাকা দেওয়া যুগ যুগের রীতি; অলিখিত ঐতিহ্য বা রেওয়াজ। তবে এবার সেই আনন্দ নেই!
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার কারণে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টাকার নতুন নোট বাজারে আসেনি। তবে কি এবার ময়লা পুরনো টাকাতেই কাটাতে হবে ঈদ? ঈদে নতুন টাকা নেই বলে মন খারাপ অনেকের। বাংলাদেশ ব্যাংক সবশেষ জানুয়ারিতে নতুন টাকা ছাপিয়েছিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা অফিসে পছন্দসই গ্রাহক ছাড়া অন্যরা পাচ্ছেন না নতুন টাকা। এদিকে নতুন টাকার ব্যবসায়ীদের কাছেও রয়েছে সংকট। এক টাকা থেকে ২০ টাকার পাঁচ ধরনের নোট কম। দাম বাড়তি। ক্রেতাদেরও আগ্রহ কম।
চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড় থেকে কোর্ট বিল্ডিং এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নতুন টাকা বিক্রেতা পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। তবে অন্য ঈদের তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা কম। ক্রেতা নেই বললেই চলে। পরিদর্শনকালেও কোনো ক্রেতার দেখা পাওয়া যায়নি। কিছু মানুষ খোঁজখবর নিলেও কেউ কিনেননি।
বিক্রেতারা দুই টাকা নোটের বান্ডিল ৮০, ৫ টাকার নোট ১৮০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন। আর ১০ টাকার নতুন নোটের বান্ডিল ৩০০ থেকে ৪০০, ২০ টাকার নোট ২৫০ থেকে ৩০০, ৫০ টাকার নোট ৩৫০, ১০০ টাকার নোটে ৪০০ টাকা বাড়তি। প্রতিটি বান্ডিলে একশ পিস করে নতুন নোট থাকে।
নতুন টাকা বিক্রেতা মো. আবু ফয়েজ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে নতুন টাকার নোট কিনে আনতে হয়। আমাদেরকে এমনি এমনি দেয় না। বেশিরভাগ মানুষ ছোট (৫, ১০, ২০) টাকার নোট খুঁজে। আমরাও সেগুলো বিক্রি করি। কিন্তু এবার সেই নোটগুলো পাইনি। যা পেয়েছি, তাও কষ্ট করে জোগাড় করেছি।’
বিক্রেতা আলমগীর কবীর বলেন, ‘টাকার দামটা এবার অতিরিক্ত বেশি। তাই আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। ৫০ ও ১০০ টাকার নোট ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছু নাই। হাজারে ৫০ টাকা করে বাড়তি নিচ্ছি। এগুলো ছয়-সাত মাস আগের টাকা। এবার ব্যাংক থেকে নতুন টাকা পাইনি। তাই দাম ছাড়তে পারছি না। কাস্টমারও কম।’
নতুন/কাগজ/রুপন/চট্টগ্রাম
