দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে; মুহাম্মদ শাহজাহান


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, সত্যিকারের দেশপ্রেমিক জনগণ কখনোই শুধুমাত্র একটি গতানুগতিক নির্বাচন চাই না। বরং তারা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের জন্য উন্মুখ। দেশের নতুন প্রজন্ম অতীতের ৫৩ বছরের তিক্ততা থেকে মুক্তি পেয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন চায়। জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে জনগণ সেই প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্ন দেখছে। তাই, জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন গণসংযোগের পক্ষে জনআকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে সকল জনশক্তি ও দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এ মন্তব্য তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে গণসংযোগ পক্ষ পালনের জন্য আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে দেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কামাল উদ্দীন, মাওলানা আরেফে জামী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, আরিফুর রশীদ এবং উপজেলা ও থানা নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দাওয়াত মুমিন জীবনের অন্যতম মিশন। যুগে যুগে সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম এই দাওয়াতি কাজকেই তাদের মূল কাজ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাদের অনুসরণ করে আমাদেরও দাওয়াতি কাজকে মিশন এবং ভিশন হিসেবে গ্রহণ করে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে সক্রিয় হতে হবে। বিগত ১৬ বছর ধরে দাওয়াতি কাজের প্রয়াসে দায়িত্বশীলদের বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বাতিল শক্তি তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশুভ তকমা দিয়ে তৎপর হলেও আল্লাহ নিজেই দ্বীনের কাজকে সহজ এবং জনগণের কাছে পৌঁছানোর পথ সুগম করেছেন। শহীদদের রক্তের বদলা শুধুমাত্র দাওয়াতি কাজকে সম্প্রসারিত করে আদায় করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, "সত্যিকারের মুমিনগণ কখনোই দাওয়াতি কাজের বাইরে থাকতে পারেন না। সকল স্তরের জনগণের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সাহাবায়ে কেরামের পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা সকলের মাঝে দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।"
নতুন/কাগজ/নুরুল/সাতকানিয়া
