অনুমোদন ছাড়া হজে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা, কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সৌদির
.jpg)

আসন্ন হজ মৌসুমে অনুমোদনহীনভাবে হজ পালনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। অনুমতি ছাড়া হজে অংশ নিলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুমতি ছাড়া হজে অংশ নেওয়া ব্যক্তি ছাড়াও তাদের সহায়তাকারীরাও আইনি পদক্ষেপের আওতায় আসবেন। সরকারিভাবে এ বিষয়ে একটি সতর্কবার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছে, পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজের অনুমতি ছাড়া এতে অংশগ্রহণকারীদের এবং যারা এমন কাজকে সহায়তা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে। এই বিধিনিষেধ যিলক্বদ মাসের প্রথম দিন থেকে যিলহজ্জ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে; অর্থাৎ হজ মৌসুমের পুরো সময়কালজুড়ে এটি প্রযোজ্য থাকবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ অনুমতি ছাড়া হজ করার চেষ্টা করলে বা হজ করলে তাকে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ টাকা) জরিমানা গুনতে হবে। এই জরিমানা সব ধরনের ভিজিট ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য; যদি তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুমতি ছাড়া মক্কা বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করেন বা অবস্থান করেন, তবে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
অন্যদিকে, যারা এই নিয়ম ভাঙায় সহায়তা করবেন তাদের জন্য শাস্তি হবে আরও কঠোর। কেউ যদি এমন কাউকে স্পন্সর করেন যিনি হজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, তাহলে তাকে এক লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।
যারা অবৈধ হজযাত্রীদের মক্কা বা পবিত্র এলাকায় নিয়ে যাবেন, আশ্রয় দেবেন বা আবাসনের ব্যবস্থা করবেন, হোটেল, ভাড়া বাড়ি বা হজের জন্য নির্ধারিত আবাসন ব্যবস্থায় থাকতে দেবেন, তাদের ওপর এই জরিমানা প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া, যদি কোনো অবৈধ অভিবাসী বা ভিসার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়া ব্যক্তি হজে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন না তারা।
পাশাপাশি, যেসব যানবাহন এই ধরনের অননুমোদিত যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হবে, সেগুলো জব্দ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে যদি সেগুলো পরিবহনকারী বা সহায়তাকারীর মালিকানাধীন হয়।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো হজের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করা। এছাড়া হজ সংক্রান্ত নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে চলতে নাগরিক, অভিবাসী এবং বৈধ ভিসাধারীদেরও অনুরোধ করেছে সৌদি সরকার।
