শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

সিস্টেম যদি ফুলপ্রুফ হতো, সংস্কার ও বিপ্লবের দরকার হতো না: নজরুল ইসলাম খান

সিস্টেম যদি ফুলপ্রুফ হতো, সংস্কার ও বিপ্লবের দরকার হতো না: নজরুল ইসলাম খান
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সিস্টেম ফুলপ্রুফ না হওয়ার কারণেই সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “ফুলপ্রুফ সিস্টেম থাকলে বিপ্লব, সংস্কার কিছুই দরকার হতো না। আমরা সেই প্রক্রিয়াকেই সমর্থন করবো, যা সহজ, গ্রহণযোগ্য, বোধগম্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী।”

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে অনলাইন, পোস্টাল ও প্রক্সি ভোটিং— এই তিনটি পদ্ধতির প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। এ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা দলীয়ভাবে বিশ্লেষণ করে মতামত জানাবো— কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, প্রবাসীদের সংখ্যা ও অবস্থান সংক্রান্ত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে। “২৯ লাখ প্রবাসী ভারতে আছে— এমন তথ্য ইউটিউবের সূত্রে দেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারি কোনো উৎস নেই। প্রবাসীদের প্রকৃত সংখ্যা, কতোজন স্থায়ী হয়েছেন, কতোজন ফিরেছেন— এসব তথ্য কারো কাছে নেই।”

তিনি বলেন, “আমাদের নাগরিকদের জন্য বিদেশে পৌঁছার পর দূতাবাসে রিপোর্ট করার নিয়ম নেই। অনেকে পাসপোর্ট ছাড়াই থাকেন, কেউ মৃত মানুষের পাসপোর্টে যান। সবাই এনআইডি বা পাসপোর্ট রাখেন না। সুতরাং ভোটাধিকার কার্যকরের আগে এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে।”

দূতাবাসগুলোর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা। “আমাদের দূতাবাসগুলো অনেক সময় প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারে না। এক্ষেত্রে ইসির নিজস্ব লোকবল দিয়ে সহযোগিতা করলে ফলপ্রসূ হতে পারে।”

তিনি বলেন, “শ্রমিকরা বছরে কোটি কোটি টাকা দেশে পাঠান, অথচ সম্মান পান শিক্ষিত প্রবাসীরা। এই দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টাতে হবে।”

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, “কিছু জেলা আছে যেখানে প্রবাসীদের উপস্থিতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। যদি তারা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করলেও ক্ষতি নেই।”


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ