পেট্রোল পাম্পের ধর্মঘট প্রত্যাহার


তেল বিক্রিতে ন্যূনতম ৭ শতাংশ কমিশনসহ ১০ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন। তিনি জানান, বিপিসির পক্ষ থেকে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। ফলে সার্বিক বিবেচনায় তারা কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর ফলে দেশজুড়ে পেট্রোল পাম্পগুলো পুনরায় স্বাভাবিকভাবে তেল সরবরাহ ও বিক্রি শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে সকাল ৬টা থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ ভোক্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধের পরই সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে বিপিসি ও মালিক সমিতি। বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে সব দাবি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
তা ছাড়া, অন্যান্য দাবিগুলো দুই মাসের মধ্যে সুরাহা না হলে পুনরায় কর্মবিরতি যাবে বলেও জানান পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতারা।
কমিশন বৃদ্ধিসহ পেট্রোল পাম্প মালিকদের ৭ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে— সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা, পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলে গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা, বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।
