দাবি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার ফেরার পর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব


‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে চলমান আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। টানা আন্দোলনে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিলে সরকারের আশ্বাসে কর্মচারীরা আন্দোলন বিরতি দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ জানিয়েছেন, কর্মচারীদের দাবিগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর তাঁর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।
তিনি বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মচারীদের বক্তব্য এবং গতকালের আলোচনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে তিনি বিষয়টি তাঁকে জানাবেন।”
প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে জাপান সফরে রয়েছেন এবং ৩১ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভূমি সচিব। এতে আরও পাঁচজন সচিব এবং সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আলোচনা ও দাবিগুলো মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাতে এবং সিদ্ধান্তের জন্য সময় দিতে বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন।
সরকার রবিবার সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করলে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। টানা চার দিন ধরে সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা। এতে বিভিন্ন দপ্তরের বিপুলসংখ্যক কর্মচারী অংশ নেন এবং সারাদেশের সরকারি কর্মচারীদের এই দাবিতে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
