মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি, নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে


নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় তিনটি ট্রলারের মাধ্যমে ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ডের দিকে যাওয়ার সময় ট্রলারটি ডুবে যায় বলে জানা গেছে। ট্রলারটিতে নারী ও শিশুসহ সাধারণ যাত্রীরাই ছিলেন।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া স্থানীয় জেলেরা জানান, ট্রলারটি মেঘনার মাঝপথে পৌঁছালে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে সেটি ডুবে যায়। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। ঝোড়ো আবহাওয়া ও নদীতে উঁচু ঢেউয়ের কারণে ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের স্থানীয় ৩টি বোটের সহায়তায় ২১ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনো ১৮ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় জেলেরা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
জিহাদ উদ্দিন নামে একজন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মেঘনা নদীতে ঝোড়ো হাওয়া ও উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ২১ জন যাত্রীকে জেলেদের ৩টি ট্রলার উদ্ধার করেছে। এখনো ১৮ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভাসানচর থানার ওসি মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ভাসানচর থেকে ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি দুপুর সাড়ে ১২টায় ছেড়ে গেছে। তীরের কাছাকাছি গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উদ্ধার অভিযান চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
