এত সাজা দিয়ে কোথায় রাখবেন, কারাগারে তো জায়গা নেই


নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগের মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করছে সাজা দিলেই মনে হয় আন্দোলন থেমে যাবে। আর কত সাজা দেবেন? কোটি কোটি মানুষকে তো সাজা দিতে পারবেন না। সাজা দিলে কোথায় রাখবেন? এখন তো কোনো জেলখানায় জায়গা নেই।’
রোববার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের মত ভোটবিহীন নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তাদের এই নির্বাচনী মহড়ায় কোনো কাজে আসবে না। যে পর্যন্ত আন্দোলন সফল না হবে, যে পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসে- সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসলেই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে। এটা কোনো রাজনীতি হলো? যারা নির্বাচন করবেন তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তাদের ষড়যন্ত্রটা ভোট কারচুপি করা, ভোট লুটপাট করা। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, মনোনয়ন দেওয়া- এটা ভোট কারচুপির নতুন ষড়যন্ত্র। ২০১৪ সালে, ২০১৮ সালে যা করেছিল- এবারও তারা একই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি বলবো, এবার কিন্তু তারা ভুল করছে। রাজনৈতিক কৌশলে আওয়ামী লীগ ভুল করছে। এবার আর আগের মতো পরিবেশ নেই।’
‘সমগ্র দেশবাসী একটা দাবিতে আন্দোলন করছে, সেটা হলো নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ভোটধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী মহড়া কোনো কাজে আসবে না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু বিএনপি নয়, সমমনা অনেক রাজনৈতিক দল আছে, পাশাপাশি জনসাধারণ তারাও কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারকে বলবো, এখনো সময় আছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নাহলে রাজনীতি যত জটিল হবে তত দেশেরও ক্ষতি হবে। আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব বিপন্নের দিকে যাবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এখন আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালত নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা তো খারাপের দিকে যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন থেকে তো মামলাগুলো পড়ে ছিল। নির্বাচনের তফসিল আসার সঙ্গে সঙ্গে যে সাজা দিচ্ছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বা সাবেক এমপিকে সাজা দিচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের আগে ছিল ৮৩ হাজার কারাবন্দি, এখন এক লাখ ১০ হাজারের বেশি হয়ে গেছে। কত জেলে দেবে। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনে স্কুল-কলেজকে গেজেট করে কারাগার ঘোষণা দিতে হবে। স্কুল-কলেজকে কারাগার করে রাখতে হবে। সবকিছুই নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।’
