ডিপিডিসি’র এমডি নোমান বহাল


ভারত-বন্ধুদের খুশি করতে জয়বাংলার পাশাপাশি জয়হিন্দ বলার প্রস্তাবকারী ৭১টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চরম ইসলাম বিদ্বেষী-নাস্তিকপন্থি সংগঠন এডিটর গিল্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান, রাষ্ট্রে অসামাজিক কার্যকলাপ বিস্তারের অন্যতম প্রধান সংগঠক, কুখ্যাত রেপিষ্ট মোজাম্মেল হক বাবুর আপন ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান এখনো ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে বহাল থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। হাসিনার পোষা কুকুর গুলোর মধ্যে হলুদ সাংবাদিক মোজা বাবু ছিলেন অন্যতম।
মোজা বাবুর তদবিরে হাসিনার নির্দেশ বিকাশ দেওয়ানকে আউট করে ও একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে নোমানকে এমডি পদে বসানো হয়। মোজা বাবুর জোড়ে নোমান গত দেড় যুগে বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে পদায়ন পান।
নোমানের হাত ধরে প্রতিমন্ত্রী বিপু সিন্ডিকেট হাতিয়ে নেয় শত শত কোটি টাকা। ডিপিডিসির বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ হরিলুট, নিয়োগ, বদলী, পদোন্নতি বানিজ্য, বিদেশ ভ্রমন ও স্পেশাল ট্রাস্কফোর্সের মাধ্যমে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এসব ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে দেশ বিদেশে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জনপ্রশাসনে দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশের সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে দেশের দুর্নীতির অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, আবদুল্লাহ নোমান দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পালনের শেষের দিকে বিদ্যুৎ খাতে হাসিনার লুটপাটের মেগা প্রকল্প গুলোসহ প্রতিটি প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৭% তাকে কমিশন না দিলে ফাইলে সই করেন না। এমনকি যেকোন টেন্ডারেই তাকে কমিশন দিতে হতো। তানাহলে সে বড়-শ্যালক মোজাবাবুকে দিয়ে ৭১টিভিতে নিউজ করিয়ে হাসিনা ও মন্ত্রী বিপুর মাধ্যমে ওই কর্মকর্তার চাকুরী নিয়ে টানাহেচড়া করতেন।
নিজের সিন্ডিকেটে পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার কাজ পাইয়ে কমিশন হাতিয়ে নিতেন। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশ কান্ডে প্রকৌশলী নোমানের গভীর সম্পৃক্ততা থাকলেও সাংঘাতিক মোজাবাবুর কারনে তার নাম আলোচনায় বা সংবাদ মাধ্যমে আসেন নাই। মোজাবাবুর কারনে নোমানের ক্ষমতা এতোটাই দুর্র্ধষ ছিলো যেকোন সময় যেকোন ঘটনা ঘটাতে পারতেন, কারোর চাকুরী খাওয়া, বান্দরবনে ট্রান্সফার করা, পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দেয়া, ইত্যাদি।
পিডিবি’র এমন ওপেন সিক্রেট অনিয়ম-দুর্নীতিতে লুটেররাণী হাসিনা পর্যন্ত টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হতো। আবার ভাগে কম হলে হাসিনাই তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিতেন। এসব চোর-ডাকাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
অপর দিকে, বহুগুন বেশী দামে ক্রয় করা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতগুলোতে। রাষ্ট্রকে ঠকিয়ে যারা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়েছে তাদেরই একজন আব্দুল্লাহ নোমান এখন ডিপিডিসি’র শীর্ষপদে বসে আছেন।
শোনা যাচ্ছে, নিজেকে রক্ষা করতে জামায়াতের একশীর্ষ নেতার আর্শীবাদ পেতে জোড় চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে শেষ রক্ষা হবে না এমন হুশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন বৈষম্যের শিকার ওই দপ্তরের সৎকর্মকর্তারা।
নোমান পিডিবি’র প্রধান প্রকৌশী থাকাকালীন চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেন। এমন আরো অসংখ্য অভিযোগ পাশ কাটিয়ে মোজাবাবুর কারিশমায় ডিপিডসি’র পদে বসে পড়েন।
আবদুল্লাহ নোমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া পেশাগত দক্ষতা অর্জনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইতালি, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তবে দুর্নীতির টাকায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিপুর ও তার ক্যাশিয়ার কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদের সাথে সুইজারল্যান্ডে সেকেন্ড হোম গড়েন বলেন সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ নোমান বলেন, ভাই আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি কোন দুর্নীতি করিনি। আর ৭১ টিভির মোজাম্মেল বাবু আমার ভগ্নিপতি এটা কি আমার কোন অপরাধ।
নতুন/কাগজ/ডিপিডিসি/ঢাকা
