শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

ব্যাংককে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি

ব্যাংককে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটি বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ নেতাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিল্লিকে বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ঢাকা। ওই চিঠির প্রতিউত্তর এসেছে দি‌ল্লি থেকে।

বুধবার (২ এ‌প্রিল) দি‌ল্লির সম্ম‌তির বিষয়‌টি ঢাকাকে আনুষ্ঠা‌নিকভাবে জানানো হয়েছে।

ঢাকার একা‌ধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আগামী বৃহস্প‌তিবার (৪ এ‌প্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মো‌দি। তবে কো‌ন ফরমেটে বা কত সময় দুই শীর্ষ নেতা বৈঠক করবেন, সে বিষয়ে এখনো বিস্তা‌রিত জানা যায়‌নি।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকার প্রায় আট মাস পার করলেও দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্কে টানাপড়েন থামছে না। তবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে আর অস্বস্তি চায় না ড. ইউনূসের সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে ভারতের সঙ্গে আর যেন সম্পর্ক খারাপ না হয়, সেই নির্দেশনা রয়েছে।

ব্যাংককে ইউনূস-মোদির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে সাবেক এক রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে যে টানাপোড়ন চলছে, সেটি অনেকটাই কমে আসবে, যদি ব্যাংককে ইউনূস-মোদি বৈঠকে বসেন। আমি মনে করি, দুই প্রতিবেশীর একে অপরকে প্রয়োজন নেই-এ কথা বলার সুযোগ কারও নেই। যার যার নিজ স্বার্থ বিবেচনায় দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক হলে দুই দেশেরই কল্যাণ হবে।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে ব‌লে‌ছি‌লেন, আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটিকে (‌ড. ইউনূস-‌নরেন্দ্র মো‌দি বৈঠক) আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যদি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা, সেটা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস-‌নরেন্দ্র মো‌দি বৈঠকের কথা উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন