বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

জাহাঙ্গীরনগরে পিটুনিতে নিহত ছাত্রলীগ নেতাকেও 'সাময়িক বহিষ্কার' করেছে প্রশাসন!

জাহাঙ্গীরনগরে পিটুনিতে নিহত ছাত্রলীগ নেতাকেও 'সাময়িক বহিষ্কার' করেছে প্রশাসন!
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাময়িকভাবে ২৫৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। বহিষ্কৃতদের তালিকায় পিটুনিতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। সম্প্রতি তার বহিষ্কারাদেশের চিঠি তার বিভাগে পৌঁছানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, একজন মৃত ব্যক্তিকে বহিষ্কার করে প্রশাসন উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৪, ১৫ ও ১৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং পুলিশ হামলা চালায়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রশাসন দায়িত্বে এসে এসব হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন শেষে গত ১৭ মার্চ সিন্ডিকেট সভা থেকে ২৫৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

প্রশাসন বলছে, ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের সনদ স্থগিত করা হবে। যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছেন, তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে ও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সিন্ডিকেট থেকে প্রাপ্ত তালিকা শিক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রস্তুত করে তার কাছে দিয়েছিলেন। ৩৭টি বিভাগে আলাদা আলাদা চিঠি স্বাক্ষর করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। তারা দ্রুত বিষয়টি ঠিক করে পুনরায় বিভাগে পাঠাবেন।

উল্লেখ্য; জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে পিটুনি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। হস্তান্তরের প্রায় দুই ঘণ্টা পর শামীম মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কার এবং মামলা করে প্রশাসন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন