রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই খুন


রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ঘটে যাওয়া এই দুই ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন কলেজ শিক্ষার্থী ও এক ফটোগ্রাফার। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাগুলোর কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি।
জানা যায়, রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুরের দুর্গা মন্দিরের গলিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন নুর ইসলাম (২৬)। বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কাজ করতেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। মাথা ও দুই হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে রাত ১০টার দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মুখে মাস্ক পরা কয়েকজন যুবক অস্ত্র হাতে নুর ইসলামকে ধাওয়া করে। জীবন বাঁচাতে তিনি দৌড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি। এ সময় তার কাছ থেকে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
নুর ইসলাম বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব সুজন কাঠি গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে। নিহতের বড় ভাই ওসমান গনি জানান, ‘আমার ভাই কাজ শেষে ওই গলিতে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।’
অন্যদিকে রাত সোয়া ৮টার দিকে ধানমন্ডির জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন মো. আলভী (২৭)। তিনি ড. মালেকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহত হন তার বন্ধু আশরাফুল ইসলাম (২১), যিনি একই প্রতিষ্ঠানের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন।
নিহতের মামী মাহি বেগম জানান, ‘আলভী ও আশরাফুল চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।’ পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন। আশরাফুল এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আলভীর বাবা মশিউর খান পাপ্পু এবং আশরাফুলের বাবা মোহাম্মদ মাসুদ, উভয়ের পরিবার হাজারীবাগ বিজিবি ৫ নম্বর গেট এলাকায় বসবাস করেন।
এবিষয়ে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক উভয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ দুটি মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
নতুন কাগজ/বিএইচ
