আছিয়া হত্যা মামলার দ্রুত রায় বিচার বিভাগের বড় সাফল্য”


আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিকে বিচার বিভাগের একটি বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
শনিবার (১৭ মে) মামলার রায় ঘোষণার পর নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি বলেন, “এই মামলায় মাত্র ২১ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, যা আমাদের বিচারব্যবস্থার গতিশীলতা ও দক্ষতার একটি ইতিবাচক উদাহরণ।”
এর আগে একই দিন সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার অপর তিন আসামি— শিশুটির বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ এবং হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চারজন আসামিকে মাগুরা জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের ২১ দিনের মাথায় মামলার শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করা হলো।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া।
মেয়েটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় সে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ও সারাদেশজুড়ে মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ধর্ষণ ও হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় মাগুরাসহ বিভিন্ন স্থানে।
এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিকে সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞ মহল স্বাগত জানিয়েছে। ফেসবুক লাইভে শিশির মনির বলেন, “এই রায় আমাদের বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করবে। তবে একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, শুধু দ্রুত বিচার নয়— সুবিচারই যেন হয় নিশ্চিত।”
