শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

গায়িকা ইমন চক্রবর্তী পিএমএস রোগে আক্রান্ত, জানালেন নিজের সংগ্রামের কথা

গায়িকা ইমন চক্রবর্তী পিএমএস রোগে আক্রান্ত, জানালেন নিজের সংগ্রামের কথা
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

পিএমএস (প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম) রোগে আক্রান্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন তিনি এবং সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের এই সংগ্রামের কথা শেয়ার করেছেন।

ইমন চক্রবর্তী জানান, পিএমএস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনেছেন, নিয়মিত শরীরচর্চাও করছেন, তবে তবুও সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাননি।

গায়িকা তার পোস্টে লিখেছেন, “পিএমএস মেয়েদের জন্য খুবই গুরুতর সমস্যা। নিজের যত্ন নিন, ধ্যান করুন, ব্যায়াম করুন, ভালো করে খাওয়াদাওয়া করুন। আর যদি কখনো কিছু করতে ইচ্ছে না করে, তাহলে কিছু সময় বিশ্রাম নিন এবং পরে আবার কাজে ফিরুন। আমি অনেকদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি এবং এতে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি জানি, আমি এর থেকে বেরিয়ে আসব। সকল মেয়েদের জন্য শুভকামনা রইল।”

ইমনের পোস্টে তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন অনেক নেটিজেন। এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “বিশেষ করে যদি কারো ডিপ্রেশন থাকে, তাহলে পিএমএস পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে! সাবধান। আলিঙ্গন।” অন্য একজন লিখেছেন, “আমিও ভুক্তভোগী, খুবই সমস্যা।” কেউ মন্তব্য করেছেন, “PMS সত্যিই অনেক কষ্টের।”

একজন নেটিজেন জানিয়েছেন, “আমিও একসময় এই সমস্যায় ভুগতাম, তবে একজন ভালো গাইনোকোলজিস্ট আমাকে পরামর্শ দেন এবং আমি তার সাহায্যে কাটিয়ে উঠেছি। তারপর আমি মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছি, কোন জটিলতা ছাড়াই।”

পিএমএস কী?

পিএমএস (Pre-Menstrual Syndrome) এমন একটি শারীরিক ও মানসিক সমস্যা, যা অনেক মহিলার ঋতুস্রাবের এক বা দুই সপ্তাহ আগে দেখা দেয়। প্রায় ৯০ শতাংশ মহিলা তাদের মাসিকের আগে বিভিন্ন লক্ষণ অনুভব করেন, যেমন পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা, মেজাজের পরিবর্তন, অনাহারের অনুভূতি, মন খারাপ বা কান্না পেতে হতে পারে। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা, বদহজম বা খাবারে অরুচি দেখা দেয়।

এই লক্ষণগুলি অনেকসময় এত তীব্র হয় যে অনেক মহিলাকে কাজ বা স্কুলও মিস করতে হয়। তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি কম তীব্র হয়।

গড়ে ৩০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে পিএমএস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চিকিৎসকরা এই সমস্যার সমাধানে সহায়তা দিতে পারেন।

পিএমএসের সঠিক কারণ নিয়ে এখনও গবেষকরা নির্দিষ্ট কিছু বলেননি, তবে মাসিক চক্রের সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনকে মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পরিবর্তনশীল হরমোনের মাত্রা কিছু মহিলাকে অন্যদের তুলনায় বেশি প্রভাবিত করে।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন