চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে না দিতে হাইকোর্টে রিট


চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও অন্যান্য টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) জনস্বার্থে এক ব্যক্তি এই রিট আবেদন করেন। রিটে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আদালত আগামী রোববার এই রিটের ওপর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
নির্মাণের ১৭ বছর পর কেন একটি সফল টার্মিনালকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে হবে—এমন প্রশ্ন রেখে এই রিটে বলা হয় টার্মিনালটিতে জাহাজ থেকে বার্ষিক ১০ লাখ একক কনটেইনার ওঠানো–নামানোর স্বাভাবিক ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে দেশীয় অপারেটর গত বছর এই টার্মিনালে জাহাজ থেকে ১২ লাখ ৮১ হাজার কনটেইনার ওঠানো–নামানোর কাজ করেছে। কিন্তু কার স্বার্থে এটি করা হচ্ছে সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া হবে কি-না তার পক্ষ-বিপক্ষে বিতর্ক আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। অনেকে এ ধরনের সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, প্রতিবাদ করছেন।
রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দেশি প্রতিষ্ঠানের হাতেই থাকতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। তারা জানান, জাতীয় অর্থনীতির প্রধান লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া যাবে না।
বিগত আওয়ামী লীগ আমলে এই টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার দুবাইভিত্তিক একটি বিদেশি কোম্পানিকে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, সেটিই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আবার গতি পেয়েছে। এমন খবরে অনেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।
যদিও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে একটি সমীক্ষা এখন চলছে। নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলমান রয়েছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
