ভোররাতে অগ্নিকাণ্ড, পরিবারসহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন বাপ্পা মজুমদার


জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের বনানীর বাসায় বৃহস্পতিবার সকালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। যদিও ঘটনাটি ছিল বেশ আতঙ্কজনক, সৌভাগ্যবশত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাপ্পা মজুমদার জানান, আগুন লাগার সময় তিনি বাসাতেই ছিলেন এবং সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তান। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে সবাই নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নির্ধারণ করা যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
বাপ্পা মজুমদার গণমাধ্যমে বলেন, "আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সবাই ভালো আছি। ঘটনা যতটা ভয়াবহ হতে পারত, ততটা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত না এলে হয়তো বড় কিছু ঘটতে পারত।"
তিনি পরিবার ও ভক্তদের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বৃহস্পতিবার ভোরে। ঢাকার বনানীতে তার বাসার ভবনের নিচতলা থেকে হঠাৎ করেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ভোর ৫টার দিকে ইন্টারকমে কল পেয়ে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। দ্রুত ঘুম থেকে উঠে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন ধোঁয়া।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে কিছু সময় স্ত্রী তানিয়া হোসাইন ও দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকেন বাপ্পা। পরে পাশে থাকা এক গীতিকারের সাহায্যে নিরাপদে ভবন থেকে বের হয়ে আসেন তারা।
বাপ্পা মজুমদার জানান, "এটা খুব বড় একটি দুর্ঘটনা হতে পারত। আল্লাহর রহমতে আমরা সবাই বেঁচে গেছি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সময়মতো না এলে বিপদ আরও বাড়ত। বাসার সবাই মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত, এখনও আমরা ধাক্কা সামলাতে পারছি না।"
একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ভবনে আগুন লাগার ঘটনার সময় যা ঘটেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা সময়মতো না এলে কী যে হয়ে যেত, ভাবতেই ভয় লাগছে।”
ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলার কোনো বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাপ্পা ও তার পরিবার এখনও মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে রয়েছেন।
