শিক্ষার্থী আনাস হত্যা মামলার বিচার শুরু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে


রাজধানীর চানখাঁরপুলে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান আনাস হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
রোববার (২৫ মে) এই বিচারিক কার্যক্রমের সূচনা হচ্ছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। গণ-আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আনাস, যা দেশে তীব্র জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়াকে আনাসের পরিবার ও সহপাঠীরা বিচার পাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
গত ২০ এপ্রিল এই মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন আজ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করা হবে। এর মধ্য দিয়েই আনাস হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমের সূচনা ঘটবে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম ও মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে কয়েকজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালায়। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযানে সরাসরি অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অধীনস্তদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। তাদের সহযোগিতা ও নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে ব্যবহার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, এপিসি কার, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও বিপুল পরিমাণ বুলেট। পুলিশের এই অভিযানে নিহত হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।
