শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

ঢাকায় গুঁড়ি বৃষ্টির পর বাতাসের মান মাঝারি

ঢাকায় গুঁড়ি বৃষ্টির পর বাতাসের মান মাঝারি
ঢাকায় বায়ুর মান ‘মাঝারি’ মানে উন্নীত হয়েছে। ছবি: ইউএনবি ।
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ঢাকায় দুপুরে গুঁড়ি বৃষ্টির পর বাতাসের মান মাঝারি’ মানে উন্নতি হয়েছে।

ঢাকার বাতাসের রোববার (২৫ মে) সকাল ৬টার দিকে একিউআই স্কোর ছিল ১০৪, আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী যা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। পরের ঘণ্টায় তা আরও বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১১১-তে। ফলে অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিয়ে সকাল শুরু করে ঢাকা।

্এরপর রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে কমতে থাকে দূষণের মাত্রা। সকাল ৯ টার দিকে ৭৬-এ কমে আসে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে কমে ৫৬-তে এসেছে। অর্থাৎ সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মান উন্নতি হয়ে দুপুরে ঢাকার বায়ুমান ‘মাঝারি’ মানে উন্নীত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়। আর সামান্য উন্নতি হলেই শহরের বাতাসের মান ‘ভালো’ দেখবে নগরবাসী। 

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট আইকিউএয়ারের, এ তথ্য ইউএনবিতে জানানো হয়েছে। 

কারণ কণা দূষণের একিউআই মান যখন শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর ঢাকার বাতাসের মানের সূচক এখন তার চেয়ে মাত্র ৬ পয়েন্ট দূরে।

একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেয়া হয়।

সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ভাষ্য, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।


দৈএনকে/ মেলোরী
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন