এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ


গত অর্থবছরে দেশে সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সংখ্যা ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫টিতে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিএফআইইউ জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি একাধিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে বিএফআইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ হতে বিএফআইইউতে দাখিলকৃত বিভিন্ন রিপোর্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রিপার্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ বিএফআইইউ-তে সর্বমোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেনের হয়েছে। এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার ২৩৯টি বা ২২.৯৬ শতাংশ বেশি। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সচেতনত এবং বিএফআইইউ এর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন বলে জানায় বিএফআইইউ।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ১০৬টি। যা তার আগের বছর থেকে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছিল ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ ছিল ৫ হাজার ২৮০টিতে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৩ হাজার ৫৭৩টি।
বিএফআইইউ’র প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় প্রেরণ করে। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সাথে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ১৩.৯১ শতাংশ বেশি। পাচারকৃত ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
