শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

সাত দফা দাবিতে সারা দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি

সাত দফা দাবিতে সারা দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

অভিন্ন চাকরি বিধি প্রণয়ন, হয়রানি বন্ধ এবং চলমান মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিতে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল থেকে বিদ্যুৎ সেবা অব্যাহত রেখেই তারা এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।

এদিকে আজ সপ্তম দিনের মতো দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা। তারা বলছেন, একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ফলে শুধু গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবা চালু থাকবে।

তাছাড়া নতুন সংযোগ প্রদান, অফিসিয়াল কর্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। প্রশাসনিক কোনো কাজে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে (আরইবি) সহায়তা করবে না।

সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। ২১ মে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণার পর পাঁচ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, গ্রাহকসেবা অব্যাহত রেখেই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। 

সাত দফা দাবিগুলো হলো-

১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদি কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।

২. এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পরিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন।

৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষা কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।

৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।

৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সকল হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন।

৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন