শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

ইবিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনার

ইবিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনার
ইবিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড.নসরুল্লাহ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি এবং প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব ও জিয়া পরিষদ যৌথভাবে মঙ্গলবার (২৭ মে) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি  ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। মুখ্য আলোচক ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। এছাড়াও আলোচক ছিলেন ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক এমতাজ হোসেন বলেন, আজকের এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী দিন। অন্যান্য শাহাদত বার্ষিকীর চেয়ে এটি ভিন্ন। তাকে শুক্রবার দিনে হত্যা করা হয়েছিল। আপনাদের জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে হবে। আর না হয় আপনারা অপপ্রচারে জবাব দিতে পারবেন না। আপনাদের জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস জানতে হবে। কারণ এই ইতিহাস বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত করা হয়েছে। একটি শ্রেণি গত ১৬ বছরে ভোট দেখেনি, বিএনপির দেশ শাসন দেখেনি। তারা জিয়াউর রহমানের শাসনামল দেখেনি। তারা দেখেছে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন। তাই তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা খুব সহজ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, দেশের সবাইকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা নিয়ে এসেছেন। তার পরে একটি দলও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে কথা বলেনি। তার এ ধারণা এখনো কেউ ভুল প্রমাণ করতে পারেনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়া জাতীয়তাবাদী চিন্তার নায়ক। তিনি বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক দর্শন দিয়েছে যা অন্য কেউ পারেনি। তিনি ছিলেন আমাদের ঐক্যের প্রতীক। 

বর্তমান, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের যেসব চিন্তা তা অনেক আগেই জিয়াউর রহমানের ১৯ দফায় উঠে এসেছে। জিয়াউর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেখবে বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনি মানুষের আলোচনায়, চিন্তায় ও গবেষণায় সারাজীবন বেচে থাকবেন।


অধ্যাপক ড.নসরুল্লাহ আরও বলেন, ইবিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরির ইচ্ছা আছে। যাতে ইবিতে জাতীয়তাবাদী চিন্তার চর্চা ও গবেষণা হয়। ইবিতে জিয়াউর রহমান একটি অখণ্ডিত সত্তা, কোনো ক্ষুদ্র সত্তা নয়। আপনারা তার জীবন ও কর্মের উপরে গবেষণা করুন, লিখেন, আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন।


নাজমুল হুসাইন, ইবি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন