নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর, তদন্ত কমিটি গঠন


ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলে প্রবেশ পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপাচার্যের অনুমোদনে বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠনের কথা বুধবার (২৮ মে) রাতে জানানো হয়।
কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হলের হাউজ টিউটর ড. মো. আব্দুল মোমেন। সদস্য-সচিবের দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ মিলন। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, হাউজ টিউটর মো. রাশেদুর রহমান, মো. খাইরুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদ।
কমিটিকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের ৫১৪ নম্বর কক্ষে ১৭ মে হামলার শিকার হন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম শিশির। শিশির অভিযোগ করেন, চারুকলা বিভাগের কাজী নাসিফ হায়দার আকুল, সাজ্জাদ হোসেন রাব্বী, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সাদেকুর রহমান এবং অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল পুনম তার কক্ষে ঢুকে তাকে মারধর করেন। শিশিরকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারার পাশাপাশি কাঠের টুকরো দিয়ে কানে আঘাত করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক বলেন, আঘাতে শিশিরের কানের পর্দা ফেটে গেছে। এরপর ১৮ই মে শিশির বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।
মো. সাইফুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
