‘খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাস’ বরাদ্দ বন্ধ, ১৬ বছরে কোনো সংস্কার হয়নি


নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে ছাত্রীনিবাসে নাম থাকায় সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজে কোনো সংস্কার হয়নি, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ছাত্রীনিবাসটির ১৬ বছরে কোনো সংস্কার হয়নি। ভবনের আয়ু কমেছে, ছাত্রী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, আর ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে একজন বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯৫ সালে ছাত্রীনিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এবং ২০০১ সালে চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ২০০৩ সালে এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। ছাত্রীনিবাসটির নাম রাখা হয় ‘বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাস’।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকলেও শুধুমাত্র নামের কারণে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে ৮৪ জন ধারণক্ষমতার এ হোস্টেলে বর্তমানে মাত্র ২৪ জন ছাত্রী থাকছে।
অধ্যক্ষ মো. শাহীদ শাহাব বলেন, হল সংস্কারের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও নামের কারণে তা ছাড় হয়নি। এতে, চুনকাম,আসবাবপত্র মেরামত, এবং ডাইনিংয়ের সরঞ্জামের অভাবে হোস্টেলটির পরিবেশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
প্রকৌশল বিভাগের একজনের ভাষ্য, ভবনের নিয়মিত চুনকাম ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় বার্ষিক আয়ু পাঁচ শতাংশ করে কমছে।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকারের ভাষ্য, শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়ার নাম থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
বর্তমানে, ছাত্রীনিবাসে ভর্তি ফি, সিটচার্জ ও খাবার বাবদ প্রতিমাসে অর্থ নেয়া হলেও ছাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় কলেজটির আয় হ্রাস পেয়েছে। ব্যয় আগের মতো।
তৌসিফ রেজা, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
