এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহী জাপান: প্রেস সচিব


আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বড় পরিসরে শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা করছে জাপান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, জাপান সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যায় শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শফিকুল আলম জানান, এরইমধ্যে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পোস্টে তিনি লেখেন, মানবসম্পদ বিষয়ক বাংলাদেশ সেমিনারে জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোপারেটিভসের চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা জানিয়েছেন তাদের সদস্য গ্রুপ এক লাখ বাংলাদেশি নিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ পরিমাণ লোকবল নিয়োগ দেবেন তারা। এ ছাড়া জাপানি কোম্পানিগুলোর কয়েক হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা এমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রে একটি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর রূপান্তর ঘটাবে। বর্তমান অস্থির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ। এ সময় রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, এশিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে একের পর এক সংঘাতের জন্ম হচ্ছে, যার ফলে শান্তি এখন প্রায় অধরা হয়ে পড়েছে। ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংকটে হাজারো মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছে।
