অভিজ্ঞতা এবার কোচিংয়ে, নতুন ভূমিকায় প্রস্তুত মুশফিক-রিয়াদ


জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন মাঠে পারফর্ম করে অনন্য অবদান রাখা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার নতুন ভূমিকায় দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে আগ্রহী। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন—এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনিযুক্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বুলবুল জানান, দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে মুশফিক ও রিয়াদ নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান কোচ হিসেবে। এ বিষয়ে তারা বোর্ডের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, "মুশফিক ও রিয়াদ দুজনই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব পরিষ্কার। তারা ক্রিকেটকে ছাড়তে চান না, বরং কোচ হিসেবে নতুনভাবে যুক্ত হয়ে যেতে চান ক্রিকেটের সেবা করে।"
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন এই দুই তারকা। এবার সেই অভিজ্ঞতাই তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চান।
বিসিবি সভাপতি আরও জানান, ভবিষ্যতে তাদের প্রয়োজনীয় কোচিং প্রশিক্ষণ ও সনদ পেতে সহায়তা করবে বোর্ড। দেশি কোচ তৈরির ধারায় এটি হতে পারে একটি বড় পদক্ষেপ।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচ হিসেবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) আয়োজিত এক অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে।
বুলবুল জানান, বিসিবিতে তার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই মুশফিক ও রিয়াদ নিজেদের আগ্রহের কথা তাকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি জানি না বলা ঠিক হবে কি না, তবে তারা বিসিবিতে আমার আসার আগেই যোগাযোগ করেছিলেন। তারা কোচ হতে চান। সেই লক্ষ্যেই বিসিবির পক্ষ থেকে একটি কোচিং শিক্ষা কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি সাবেক ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। বুলবুল বলেন, “নান্নু ভাই, আকরাম ভাই, লিপু ভাই, হাবিবুল বাশার—তারা সবাই দেশের ক্রিকেটের গৌরবময় অধ্যায়ের অংশ। উইকেট, কন্ডিশন, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ—সবকিছু তাদের জানা। তাদের অভিজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের জন্য সম্পদ।”
তবে সাবেক ক্রিকেটারদের কোচিংয়ে আনতে হলে কেবল খেলার অভিজ্ঞতা নয়, প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির—এ কথা স্পষ্ট করেন বুলবুল। “ভালো খেলোয়াড় মানেই ভালো কোচ বা প্রশাসক হবেন—এই ধারণা থেকে বের হতে হবে। আমরা প্রস্তুতিমূলক কোচিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এগোতে চাই,” যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
