প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানেই থামল টাইগাররা


তাইজুল ইসলামের সাহসী ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত একটু স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর তাঁর ইনিংসই দলকে টেনে নেয় ২৪৭ রানে। কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৯.৩ ওভারে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে মাত্র দুটি উইকেট হাতে রেখে টাইগাররা যোগ করতে পারে ২৭ রান।
কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ধসে পড়া বাংলাদেশকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরান তাইজুল ইসলাম। তাঁর ৩৩ রানের কার্যকর ইনিংসের কল্যাণে ২৪৭ রানে গিয়ে থামে টাইগারদের ইনিংস। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২৭ রান যোগ করেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ক্রিজে ছিলেন তাইজুল ইসলাম (৯*) ও এবাদত হোসেন (৫*)।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দিন শুরু করে বেশ রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় সময় নিলেও ফল আনতে পারেননি বিজয়। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই আসিথা ফার্নান্দোর বলে ০ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তিন টেস্ট ইনিংসে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় ডাক।
এর চেয়েও হতাশার ছিল তাঁর ব্যাটিং—আউট হওয়ার আগে দুটি জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বিজয়। একটি ক্যাচ ফেলে দেন কুশল মেন্ডিস, অন্যটি যায় স্লিপে।
এরপর একটু স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি তিনিও। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ২১ রানে ক্যাচ তুলে দেন রত্মায়েকের হাতে।
এরপর সাদমান ও শান্ত চেষ্টা করলেও মাঝপথেই থেমে যেতে হয় দু’জনকেই। শান্ত মাত্র ৮ রানে ও সাদমান ৪৬ রানে বিদায় নেন। বাংলাদেশের স্কোর তখন মাত্র ৭৬।
বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে প্রথম সেশনে ৯০ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা স্থায়ী হয়নি। ভুল শটে আউট হয়ে যান লিটন (৩৪) ও মুশফিক (৩৫)।
চোট থেকে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। কিন্তু তিনিও বিশ্ব ফার্নান্দোর বাউন্সারে কাবু হয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। নাঈম হাসানও বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৫ রানে।
দ্বিতীয় দিনে এবাদত এলবিডব্লিউ হন দ্রুতই। এরপর লোয়ার অর্ডারে একাই লড়াই করেন তাইজুল ইসলাম। তাঁর ৬০ বলের ৩৩ রানের ইনিংস শেষ হয় সোনাল দিনুশার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে।
লঙ্কানদের হয়ে আসিথা ফার্নান্দো ও টেস্ট অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা নেন তিনটি করে উইকেট। বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থতার পরও লোয়ার অর্ডারের লড়াইয়ে ২৪৭ রানে পৌঁছায় সফরকারীরা।
