যুদ্ধবিরতি ভাঙলে পারস্য উপসাগরে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হতে পারে: হুঁশিয়ারি ইরানের


ইরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি—যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তবে পারস্য উপসাগরে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও তেল জাহাজে হামলা চালানো হবে, এমনকি হরমুজ প্রণালীও বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এই তথ্য সামনে এসেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস‑এর এক প্রতিবেদনে
কী বলা হয়েছে প্রতিবেদনে?
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তেহরান এমন প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করবে—যদি তার জাতীয় স্বার্থ বা নিরাপত্তা হুমকি অনুভব করে, বিশেষ করে কখনোই যুদ্ধবিরতি না মেনে ইসরায়েল আগ্রাসন চালালে
তাদের হুঁশিয়ারি, পারস্য উপসাগরের স্ট্রেইট অব হরমুজ বন্ধ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক তেল চলাচল ব্যাহত হতে পারে—যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে জরুরি প্রভাব ফেলবে ।
কেন গুরুত্বপূর্ণ?
হরমুজ প্রণালী বর্তমানে বৈশ্বিক তেলের প্রায় ২০% সরবরাহ বহন করে। এটি বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি সৃষ্টি হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কর্মক্ষমতাও প্রভাবিত হতে পারে ।
ইরানে হামলা বা যুদ্ধবিরতি না মানলে উত্তেজনা দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন সংকট তৈরি হবে।
সারসংক্ষেপ:
ইরান যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হলে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদের ওপর পাল্টা আঘাত চালানোর প্রস্তুতি নিতে পারে। পারস্য উপসাগরের জাহাজ এবং ঘাঁটিতে হামলা, এমনকি হরমুজ সেতু বন্ধ—সবই সম্ভাব্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের তালিকায় রয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে ইরানের সম্ভাব্য পদক্ষেপ ও যুদ্ধবিরতির বর্তমান অবস্থা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও বিবেচনা করছে।
