শনিবার তেহরানে জানাজা, শহীদদের সম্মানে প্রস্তুত ইরান


ইসরায়েলি হামলায় নিহত শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের স্মরণে তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় জানাজা। আগামী শনিবার অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন ইরানের সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মকর্তা ও শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতারা।
সম্প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে আয়োজিত এই জানাজা অনুষ্ঠিত হবে তেহরানের কেন্দ্রীয় স্থানে, যেখানে হাজারো মানুষের জমায়েত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি শুধু জানাজা নয়—বরং জাতির প্রতিরোধ ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও এই আয়োজনকে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (২৫) বার্তা সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সরকার ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উস্কানিতে আগ্রাসনের যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক এবং আবাসিক স্থাপনাগুলিতে বিমান হামলা চালায় যার ফলে শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ ৬০০ জনেরও বেশি ইরানি শহীদ হন।
ইসরাইলি হামলায় শহীদ হয়েছেন তারা হলেন- ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, ইরানের খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ, আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এবং বেশ কয়েকজন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী এই হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন।
ইসরাইলি আগ্রাসনের পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ এর আওতায় আইআরজিসি’র এরোস্পেস ফোর্স ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের শহরগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করতে বাধ্য করা হয়।
জেনারেল সালামি এবং তার অফিস ম্যানেজার জেনারেল মাসুদ শানেইয়ের মরদেহের শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার সকাল ৯:০০ টায় তাদের নিজ শহর গোলপায়েগানে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসরাইলি সরকারের আগ্রাসনের অন্যান্য শহীদ কমান্ডারদের সঙ্গে এই শহীদদের জাতীয় জানাজা অনুষ্ঠান শনিবার তেহরানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে আজাদি স্কয়ারের দিকে শুরু হবে, যেখানে জনগণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।
