শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj
জাতীয় গ্রিডে রূপপুরের বিদ্যুৎ,

চালু হলো ৪০০ কেভি গোপালগঞ্জ লাইন

 চালু হলো ৪০০ কেভি গোপালগঞ্জ লাইন
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার লক্ষ্যে নির্মিত রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে পরমাণু বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।

সোমবার (২ জুন) পিজিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ৪০০ কেভি হাই-ভোল্টেজ লাইনটি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত।

পিজিসিবি সূত্র জানায়, এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি দেশের বিদ্যুৎ খাতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। একইসঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার পথে বড় একটি অগ্রগতি এটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পিজিসিবি সূত্র জানায়, এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি দেশের বিদ্যুৎ খাতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সঞ্চালন লাইন চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। একইসঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার পথে বড় একটি অগ্রগতি এটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ইতিহাসে আরেকটি বড় অর্জন যোগ হলো। সোমবার (২ জুন) দুপুর ৩টা ৩২ মিনিটে ‘রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ সফলভাবে চালু করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এর মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের পূর্ণ সক্ষমতা অর্জিত হলো।

এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সঞ্চালন লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার এবং এতে রয়েছে ৪১৪টি টাওয়ার। পিজিসিবি জানায়, সুষ্ঠুভাবে লাইনটি চালুর মধ্য দিয়ে দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবকাঠামোতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

এর আগে রূপপুর কেন্দ্রের ফিজিক্যাল স্টার্টআপের জন্য আরও দুটি হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন চালু করা হয়েছিল

২০২২ সালের ৩০ জুন চালু হয় ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি’ লাইন

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল চালু হয় ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি’ লাইন

সব মিলিয়ে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সারা দেশে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য এখন মোট তিনটি উচ্চক্ষমতার সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি লাইনের ক্ষমতা ২ হাজার মেগাওয়াট, যা ভবিষ্যতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিতরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

পিজিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ এখন কার্যত দেশের যে কোনো অঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হবে। ফলে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে সহায়ক হবে এই অবকাঠামো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং স্বল্প কার্বন নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় উত্তরণের প্রতীক হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জন্য।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন