লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠকের সম্ভাবনা

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে আগামী ৯ জুন যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। ১০-১৩ জুন এই সফরকালে তার ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে।

এদিকে, সফর ঘিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা চলছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, “আমার কাছে অন্তত এ বিষয়ে কোনো তথ্য নাই।”

তবে মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারেক রহমান বা বিএনপির পক্ষ থেকে আগ্রহ দেখালে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটির ব্যবস্থা করতে পারে।

এসময় রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের আশা করা হচ্ছে, যা কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সম্মানজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।
তাছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস’স প্যালেসে রাজা চার্লসের কাছ থেকে ‘কিংস চার্লস থার্ড হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২০২৪ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন।

১১ জুন চ্যাথাম হাউসে একটি বিশেষ আলোচনায় অংশ নেবেন এবং সন্ধ্যায় ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’-এর ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন। এছাড়াও কমনওয়েলথ ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থার মহাসচিবদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সফরকালে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়টিও আলোচনায় আসতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তবে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে প্রধান বিষয় হচ্ছে অর্থ পুনরুদ্ধার, ব্যক্তির প্রত্যাবর্তনের চেয়ে।”

যুক্তরাজ্য সরকার এ সফরকে সরকারি সফর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুকও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সফরের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্যে, “এই সফর বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে আরও গভীর করবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রাখবে।”