বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থায় নতুন উদ্যোগ


বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য একটি টেকসই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান কে-কমওয়েল (Korea Workers’ Compensation & Welfare Service) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তরে এই সমঝোতা সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এতে স্বাক্ষর করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় আইএলও-এর সহকারী মহাপরিচালক মিয়া সেপ্পো উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা অনুযায়ী, উভয় দেশ টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একযোগে কাজ করবে। এতে কেবল অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, থাকবে পুনর্বাসন সেবা, পেশাগত রোগের কভারেজ ও প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচি। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পেশাজীবী সংগঠন এবং মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি সবাইকে সম্পৃক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে একটি উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল দক্ষিণ কোরিয়ার কেএ-কমওয়েল পরিদর্শনে যান। তারই ধারাবাহিকতায়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০১৫ সাল থেকে চলমান গবেষণা ও পাইলট প্রকল্পের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।
উভয় দেশই আইএলও কনভেনশন ১২১ (১৯৬৪) অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনায় শ্রমিক সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ স্কিম (Employment Injury Scheme - EIS) চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
