ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ


পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ জুন। তবে শেষ দিনের ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে।
বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল গ্রামের মানুষদের ফিরতি ঢল। প্রতিটি পরিবহন কেন্দ্রে ছিল চোখে পড়ার মতো যাত্রীচাপ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ শেষে কর্মজীবী মানুষ পরিবার-পরিজন ছেড়ে আবারও ছুটছেন রাজধানীমুখী জীবিকার টানে।
যদিও সরকারি ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই অফিস শুরু করে দিয়েছে। ফলে কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মজীবীরা।
কমলাপুর রেলস্টেশনে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফিরতি যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশনজুড়ে ছিল ব্যস্ততা ও গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়া।
সদরঘাটেও ছিল একই চিত্র। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় ফিরছেন যাত্রীরা। গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালেও রয়েছে কুড়িগ্রাম, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের ভিড়।
ঢাকার প্রবেশমুখগুলো—যেমন গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় যানবাহনের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ছুটির সময় তুলনামূলক দীর্ঘ হওয়ায় এখনো রাজধানীতে প্রবেশের চূড়ান্ত চাপ তৈরি হয়নি। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।
রাজধানীর কোথাও বড় ধরনের যানজট দেখা না গেলেও, কিছু কিছু বাস স্টপেজে যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সড়কে নিজস্ব গাড়ি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং সিএনজি অটোরিকশার উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য।
ফিরতি যাত্রীরা বলছেন, এবার যাত্রা বেশ নির্বিঘ্ন হয়েছে। ঈদের আগে যাত্রাপথে যে ভোগান্তি ছিল, ফিরতি পথে তা অনেকটাই কম। বাসে যাত্রীসংখ্যাও তুলনামূলক কম, ফলে ভ্রমণ হয়েছে আরামদায়ক ও অপেক্ষাকৃত স্বস্তিদায়ক।
এন কে/বিএইচ
