বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হবে একটি ব্যাংক, কর্মীদের চাকরি নিরাপদ থাকবে

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হবে একটি ব্যাংক, কর্মীদের চাকরি নিরাপদ থাকবে
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক শিগগিরই মিশ্রিত হতে যাচ্ছে। তবে একীভূতকরণের পরও ব্যাংকগুলোর কর্মীদের চাকরি সুরক্ষিত থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

গভর্নর বলেন, ‘নির্বাচনের সাথে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই।

এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’ 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়।

এজন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক—আমাদের দাবি যথাযথ কি না। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।’

ড. আহসান এইচ মনসুর বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (অল্টারনেটিভ ডিসপুট রেজুলেশন বা এডিআর) প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন।’

তিনি জানান, কোন পথে এগোনো হবে—আদালত নাকি এডিআর—সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর বলেন, ‘দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। এই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে।’


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন