তারেক-ইউনূস বৈঠকে দায়মুক্তির প্রসঙ্গ ওঠেনি: সালাহউদ্দিন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়মুক্তি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
সোমবার (১৬ জুন) নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কল্যাণ রাষ্ট্রের বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ওই বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার আদায়ের বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়মুক্তি কিংবা সেফ এক্সিট নিয়ে লন্ডন বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম আগামীর নির্বাচিত সংসদ পর্যালোচনা করবে।’
সম্প্রতি লন্ডনে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে দুপক্ষ একটি যৌথ বিবৃতি দেয়।
ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক: অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যা বলছেড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক: অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যা বলছে
এতে বলা হয়, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
এই বৈঠকের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েনও অনেকটাই কমেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, লন্ডনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে কাজ শুরু করবে বলে। তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশ গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে জামায়াতের প্রশ্ন প্রধান উপদেষ্টার ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে জামায়াতের প্রশ্ন
আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এটি জনগণের পক্ষে কথা বলে না, বরং এটি গণমুখী বাজেটও নয়। সরকার ১০ মাস সময় পেয়েও একটি গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছরে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা মূলত জনগণের অর্থ। প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, যা দেশের বাজেটকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত। ঋণনির্ভর বাজেটের পরিবর্তে আমাদের নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার জবাবদিহিতার বাইরে চলে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘জ্বালানির আমদানি কমিয়ে দেশীয় জ্বালানি আহরণের উদ্যোগ নিতে হবে। আর তা সম্ভব একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে।’
