লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীকে মারধর, আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা


লক্ষ্মীপুরে আদালতের এক কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় আশিকুর রহমান ও মিরাজ নামে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান ওই মামলা আমলে নিয়ে দু'জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বোরবার রাতে আদালতের কর্মচারী আশ্রাফুজ্জামান রাসেল বাদী হয়ে হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। আহত আশ্রাফুজ্জামান রাসেল লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে স্টোনোগ্রাফার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে আদালতে আবু তৈয়র নামে এক আইনজীবীর করা চুরির মামলায় দুই আসামীর জামিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই আদালত বর্জন করে আইনজীবীরা। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ম্যাজিষ্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে এজলাসের কর্মচারীদের সাথে আইনজীবীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে । এসময় কর্মচারী আশ্রাফুজ্জামান রাসেল মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়। এতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে বিচারপ্রার্থীরা। এঘটনায় হত্যার চেষ্টায় সঙ্ঘবদ্ধভাবে হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন আহত সরকারী কর্মচারী রাসেল।
এদিকে দুই আইনজীবী বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি সম্পন্ন অসত্য ও ভীত্তিহীন বলে দাবী করেছেন লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. রফিক উল্যাহ। তিনি জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুর ইসলামের সাথে আইনজীবীদের মতপার্থক্য রয়েছে। এতে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের ত্রুটি আঁড়াল করার জন্যই স্টোনোগ্রাফার দিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। আইনজীবী সমিতি পর্যালোচনা করে এবিষয়ে সিদান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গ, গত ৬ জুন সদর থানায় লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়র প্রতিবেশী রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এণ্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহমেদ কাউসার উদ্দিন জামানের (৩৫) বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করেন। গত ১০জুন আসামিদের রিমান্ড না মঞ্জুর করে ১০০ টাকা বন্ডে একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন। এতে ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আইনজীবীরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
