তেলের দাম বাড়ছে না, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা


ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে এখনই মূল্য সমন্বয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যুদ্ধ হলে কেবল জ্বালানি নয় সারসহ অনেক কিছুর দামে প্রভাব পড়তে পারে। যেহেতু হরমুজ প্রণালী ব্যবহার করি আমরা। তবে যুদ্ধ বেশি দিন চলবে না বলে আশা করি।
গত ১৩ জুন রাতে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে হামলার পরদিনই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানির দাম বাড়ে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জ্বালানি তেল-গ্যাসের দামে অস্থিরতা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বলছে, দেশের বাজারে তেলের দামে প্রভাব পড়তে পারে আগস্ট মাসে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে আমদানি নির্ভর দেশের জ্বালানি খাত হুমকিতে পড়তে পারে।
বাংলাদেশ দুবাই, সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় এসব তেলবাহী কার্গো বাংলাদেশের পথে যাত্রার ১ থেকে ২ মাস আগের গড়মূল্য বিবেচিত হয়। তবে, পরিশোধিত তেল আমদানি হয় কার্গোলোডের সময়ের আন্তর্জাতিক বাজারদরে।
বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের ২৬ শতাংশ সরবরাহ করে মধ্যপ্রাচ্য। প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় যোগান দেয় অঞ্চলটি। তাই ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হলে জ্বালানি তেল- গ্যাসের দাম বাড়ার পাশাপাশি, সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে বল মত বিশ্লেষকদের।
