শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

দেশে খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা

দেশে খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক: খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে দেশে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

শুক্রবার (২০ জুন) পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। তবে এটা একটানা স্থির থাকে না, কারণ প্রতিনিয়ত খাদ্য মজুদের খরচ হচ্ছে এবং নতুন করে সংগ্রহও করতে হচ্ছে।”

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, পটুয়াখালী জেলার বোরো সংগ্রহের ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন এবং ৫ হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন।  ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। বরগুনা জেলার বোরো ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ৫ শত মেট্রিক টন এবং ১ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ শত মেট্রিক টন ধান  এবং ১ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও বরগুনা জেলার ৬টি এলএসডি'র ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার মেট্রিক টন।

সভায় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। তবে আমরা সন্তোষজনক অবস্থানে কখনো ঠিক থাকতে পারি না। কারণ এটা ক্রমগত খরচ হচ্ছে আবার ক্রমগত যোগও হচ্ছে। এবার বোরো আবাদ যেমন ভালো হয়েছে, আমনটাও যদি ভালো হয় তাহলে বিদেশ থেকে আর চাল আমদানি করতে হবে না।

এ সময় তিনি জেলার খাদ্য সংগ্রহ এবং বিতরণে জেলা প্রশাসকদের ক্লোজ মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেন। এ ছাড়াও দুর্যোগপ্রবণ জেলা হিসেবে পটুয়াখালী ও বরগুনাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য সরবরাহ চ্যানেল নিরবিচ্ছিন্ন রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। 

উপদেষ্টা বলেন, বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষককে প্রাইস সাপোর্ট দেয়ার জন্য গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি করে ধান ৩৬ টাকা এবং চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বোরো মৌসুমের ধান-চাল কেনা শুরু হয়েছে এবং এ সংগ্রহ অভিযান  ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে । 

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে  খাদ্য নিশ্চিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে বরাদ্দ রয়েছে ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। সরকার ওএমএস এবং টিসিবি’র মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। আগামী অর্থবছরে এসব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। বর্তমানে এ কার্যক্রম বছরে পাঁচ মাস চালু আছে,আগামী অর্থবছর থেকে পাঁচ মাসের স্থলে ছয় মাস চালু থাকবে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে সভায় বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ডিসি ফুডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন